সৌদিতে আরব ও মুসলিম নেতাদের সম্মেলন
- By Jamini Roy --
- 11 November, 2024
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবে একটি সম্মেলন শুরু হয়েছে। বিশ্বের আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতারা এতে যোগ দিতে রিয়াদে উপস্থিত হয়েছেন। সম্মেলনটির মূল উদ্দেশ্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের সমাধানে একত্রিত হয়ে আলোচনা করা, বিশেষ করে গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এই সম্মেলনটি সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা গত অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্মেলনে বিশেষভাবে আলোচনা করা হবে কিভাবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধ করা যায় এবং কিভাবে একটি স্থায়ী শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জন করা যায়।
গত বছরের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় সংঘাত আরও তীব্র হয়ে ওঠে। হামাসের আক্রমণে ১২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন, এরপর ইসরায়েল গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৪৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং লেবাননেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সামনে রেখে আরব এবং মুসলিম দেশগুলোর নেতারা সৌদি আরবে একত্রিত হয়েছেন, যাতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
এই সম্মেলনটির আয়োজন এক বছরের ব্যবধানে, এবং এর আগের সম্মেলনেও আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর নেতারা ইসরায়েলের আগ্রাসনকে বর্বরতা বলে উল্লেখ করেছিলেন। এবারও তারা গাজা ও লেবাননে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে আলোচনা করবেন।
এছাড়াও, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ফোন করে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। সৌদি যুবরাজ ইরানী জনগণের জন্য সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ইরান-সৌদি সম্পর্কের মধ্যে নতুন উষ্ণতা এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, রিয়াদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সৌদি আরব, মিশর, কাতার, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, এবং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরব লীগ এবং ওআইসি মহাসচিবরা উপস্থিত থাকবেন। তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আলোচনা করবেন। এই সম্মেলনটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের প্রেসিডেন্টকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান, যা পরবর্তীতে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান এবং সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে।